নীতিমালা চূড়ান্ত করে প্রকৃত চালক-মালিকদের মধ্যে ব্যাটারি চালিত যানবাহনের লাইসেন্স প্রদানের দাবিতে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট এবং রিকশা-ব্যাটারি রিকশা -ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ সিলেট মহানগর শাখার উদ্যোগে মিছিল -সমাবেশ ও বিআরটিএ সিলেট সহকারী পরিচালক বরাবর নামের তালিকা প্রদান করা হয়। অদ্য ২০সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুর ১২টায় আম্বরখানাস্হ সংগঠনের কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শেষে মিছিল সহকারে সিলেট বিআরটিএ কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ রিয়াজুল ইসলাম বরাবর নামের তালিকা প্রদান করা হয়।
রিকশা -ব্যাটারি রিকশা -ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ সিলেট মহানগর শাখার সভাপতি প্রণব জ্যোতি পাল এর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ও সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা আহ্বায়ক আবু জাফর, সংগ্রাম পরিষদের সহ-সভাপতি সভাপতি শহীদ মিয়া, ইয়াছিন আহমদ, এরশাদ মিয়া, আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন, নুরুল ইসলাম আনোয়ার হোসেন কুটি,বিলাল হোসেন, ইউসুফ মিয়া, মোহসীন আহমদ, সেলিম আহমেদ, আফজাল হোসেন, আবদুল্লাহ পারভেজ, কাওছার আহমদ,রাকিব, সুমন মিয়া, রমজান আলী, আফজাল,মিন্টু যাদব, ফখরুল ইসলাম, প্রমূখ।
সমাবেশে বক্তাগণ বলেন, সংগ্রাম পরিষদ গত ১০ বছর নীতিমালা প্রণয়ন ও আধুনিকায়নকরণ করে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের নিবন্ধন ও লাইসেন্স প্রদানের দাবিতে অব্যাহত আন্দোলন সংগ্রাম পরিচালনা করে আসছে। দীর্ঘ আন্দোলনের চাপে সরকার ইতিমধ্যে খসড়া নীতিমালা চূড়ান্ত করলেও তা চূড়ান্ত করতে গড়িমসি করছে।
বক্তাগণ হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সারাদেশে ৫০ লাখ মানুষ ইজিবাইক, রিকশাসহ ব্যাটারিচালিত যানবহানে যুক্ত আছে। কিস্তি করে, জমি বন্ধক রেখে, পুলিশি নির্যাতন, অবৈধ চাঁদাবাজি মোকাবিলা করে ৫০ লাখ মানুষ বছরে দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে প্রায় ২ লাখ কোটি টাকার অবদান রাখছে। তারা কোন প্রণোদোনা বা সরকারি সহায়তা ছাড়াই আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে।
বক্তাগণ আরও বলেন, দেশের জাতীয় অর্থনীতি, কর্মসংস্থানের গুরুত্ব ভূমিকা রাখা এই সেক্টরের দীর্ঘদিনের দাবি নীতিমালা চূড়ান্ত করে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের মালিক -চালকদের দ্রত নিবন্ধন,রুট পারমিট, লাইসেন্স প্রদান, প্রতিটি মহাসড়কে বিকল্প লেন বা সার্ভিস রোড নির্মাণ, অবৈধ রেকারিং,চাঁদাবাজি -টোকন বাণিজ্য,মহাসড়ক ব্যতীত সর্বত্র চলাচলের অধিকারসহ ৭ দফা দাবিতে সারাদেশে আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান।