• ১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৩ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

জাতির জনক সকল দলের সকল মানুষের

admin
প্রকাশিত আগস্ট ১৬, ২০২০
জাতির জনক সকল দলের সকল মানুষের

একুশে নিউজ:: জাতীয় পার্টির চেয়াম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, জাতির জনক কোনো দল বা গোষ্ঠীর নন। জাতির জনক সকল দলের সকল মানুষের। আজকে যারা রাজনীতি করছেন, সকলের উচিত জাতির জনককে মেনে নিয়ে রাজনীতি করা। তার অবদানকে স্বীকার করেই রাজনীতি করতে হবে।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শনিবার (১৫ আগস্ট) জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জিএম কাদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। বঙ্গবন্ধুর ডাকে এদেশের সকল মানুষ স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে। দেশ ও মানুষের কল্যাণে বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ অপরিসীম। বঙ্গবন্ধু আন্দোলন সংগ্রামের রোল মডেল, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সকল প্রেরণার উৎস। তার জীবনী অনুসরণ করলে সকল সমস্যার সমাধান পাওয়া সম্ভব। তিনি সকল অন্যায় ও অনিয়মের প্রতিবাদ করে গণমানুষের আস্থা ও ভালোবাসার প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন। তাই শক্তিশালী ও নির্যাতনকারী পাকিস্তানি সরকারের নির্দেশনা অমান্য করেও দেশের মানুষ বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ মেনে চলেছে।

জিএম কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করেছেন। কিন্তু কখনো শত্রুতা করেননি। প্রতিপক্ষের বিপদেও পাশে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু উদারতার অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। পল্লীবন্ধু জাতীয় সংসদের বক্তৃতায় বলেছিলেন, জাতীয় পার্টি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতার মর্যাদা দিতে চেয়েছিল। অপ্রত্যাশিত কিছু কারণে তা করতে পারেননি। কিন্তু জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টি ভোট দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে জাতির জনকের মর্যাদা দিয়েছে।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আরও বলেন, বর্তমানে করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমছে না। কিন্তু স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ের অভাবে এখন করোনার চিকিৎসা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সংক্রমণ কমছে না। কিন্তু কোভিড হাসপাতালগুলোকে নন-কোভিড করা হচ্ছে। কোনো কোনো হাসপাতাল থেকে করোনা রোগীদের বের করে দেয়া হচ্ছে। করোনা রোগীরা অক্সিজেন কিনে বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক।

উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি বন্ধ এবং দুর্নীতিবাজদের বিচারের মুখোমুখি করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান।

জিএম কাদের বলেন, দেশে এখনো বন্যা এবং করোনা সংক্রমণ চলছে। তাই জাতীয় পার্টির সকল স্তরের নেতা-কর্মীদের করোনা আক্রান্ত এবং বন্যার্তদের সহায়তা করতে নির্দেশ দেয়া হচ্ছে।

তিনি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আজম খানের মালিকাধীন নারগানা ইন্টারন্যাশনাল রিসোর্টে সন্ত্রাসী হামলা এবং লুটপাটের ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, জাতির জনকের প্রশ্নে কোনো বিতর্ক নেই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে কিংবদন্তি নেতা হয়েছেন। দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নিবেদিত থেকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে শাহাদত বরণ করেছেন। বঙ্গবন্ধু পৃথিবীর ইতিহাসে অনন্য নেতা। সারাবিশ্বে অনেক নেতার জন্ম হয়েছে কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ডাকে বাঁশের লাঠি নিয়ে ট্যাংকের সামনে দাঁড়িয়েছেন বাঙালিরা। এটা নজিরবিহীন নেতৃত্বের প্রমাণ।

এসময় বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবুল হোসেন বাবলা এমপি, মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, সাবেক মহাসচিব ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, আজম খান, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আব্দুস সাত্তার মিয়া, আলমগীর সিকদার লোটন।

জাতীয় পার্টির যুগ্ম-দফতর সম্পাদক মাহমুদ আলমের পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম সেন্টু, নাজমা আখতার এমপি, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট নুরুল আজহার শামীম, শাহ-ই আজম, পনির আহমেদ এমপি, মো. নুরুল ইসলাম তালুকদার, ভাইস চেয়ারম্যান আহসান আদেলুর রহমান এমপি, সুলতান আহমেদ সেলিম, শফিউল্লাহ শফি, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, ইয়াহ্ হিয়া চৌধুরী, যুগ্ম-মহাসচিব ইকবাল হোসেন তাপস, ফখরুল আহসান শাহজাদা, মো. আমির হোসেন ভূঁইয়া, বেলাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, সাইফুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন তোতা, আনিস উর রহমান খোকন, কাজী আবুল খায়ের, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মাসুদুর রহমান মাছুম, শাহাদৎ কবীর চৌধুরী, জহিরুর ইসলাম মিন্টু, মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসহাক ভূঁইয়া, ডা. মোস্তাফিজুর রহমান আকাশ, দেলোয়ার হোসেন খান মিলন, সুজন দে, শারমীন পারভীন লিজা, আবু তৈয়ব, এস.এম. আল জুবায়ের, সমরেশন মন্ডল মানিক, শাহজাহান কবীর, শহীদ হোসেন সেন্টু, ডা. মো. আব্দুল্লাহ আল ফাত্তাহ, এস এম পারভেজ রহমান, ছাত্রসমাজের সম্পাদক আল মামুন।