স্টাফ রিপোর্ট::
মহান বিজয় দিবস আজ। রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ৩০ লাখ শহীদ ও দুই লাখ মা-বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাক সেনাদের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়।
এই দিসবটি উপলক্ষে সারাদেশে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। ভোরের সূর্য যখন উঁকিঝুঁকি করছে ঠিক তখন সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হতে শুরু করেন সাধারণ মানুষ। ছোট্ট শিশু থেকে শুরু করে নানা বয়সের মানুষ আসতে শুরু করেন। কেউ আসছেন একা, কেউ বা দল বেঁধে। কারো হাতে ফুল, কারো মুখে আবার দেশের গান।বিজয়ের ৫০ বছর আজ। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাঙালির কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলে পাক হানাদার বাহিনী। সেইদিন বিজয় অর্জিত হয় বাংলাদেশের।
বিজয়ের এই দিনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভিড় করেন অসংখ্য মানুষ। তাই ভোরের সূর্যের আলো উঠতেই বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান শহীদদের প্রতি। এ সময় হাজারো মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চৌহাট্টা।
শহীদ মিনার বেদিতে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণে প্রথমে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করে শহীদ মিনার বাস্তবায়ন পরিষদ। এরপর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। পরে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার, উপ মহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি), মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, এসপি আরআরএফ কমান্ডেন্ট, এসপি এপিবিএন। এরপর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ, জেলা ও মহানগর বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জাতীয় সমাজ তান্ত্রিকদল জাসদ, বাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, সাম্যবাদী দল, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, সিলেট প্রেসক্লাব, ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন, সিলেট চেম্বার অব কমার্স, সড়ক বিভাগ, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফ্রন্ট সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন একে একে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
এছাড়াও সিলেটের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
ইতোমধ্যে বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী। এরপর আওয়ামী লীগসহ দলের অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা শ্রদ্ধা জানান।