• ১৭ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৫ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের নামে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি দাও: স্কপ

admin
প্রকাশিত মে ২২, ২০২৪
হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের নামে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি দাও: স্কপ

একুশে নিউজ ডেস্ক : গত ১লা মে’২৪ সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনকে কেন্দ্র করে মালিকগোষ্ঠী কর্তৃক সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেফতারকৃত নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ) সিলেট জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।

২২মে বুধবার গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ১৯৯৩ সাল থেকে সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং চট্টঃ ১৯৩৩ শ্রমিকদের আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠায় দেশের প্রচলিত আইন মোতাবেক নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন-সংগ্রামের পাশাপাশি মালিকদের সাথে দরকষাকষি করে আসছে। শ্রমিকদের ঐক্য ও সংহতির সাথে একাত্ম হতে ১ মে ছুটির জন্য বিগত বছরের ন্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে এবারও মালিকদের চিঠি দেওয়া হয়। এপ্রেক্ষিতে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের মালিকগণ শ্রমিকদের ছুটি দিয়ে প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখেন। কিন্তু অতি নগন্য সংখ্যক মালিক তাদের ধারাবাহিক ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত বাস্তবায়নের মানসে এবছর মে দিবসে শ্রমিকদের জোরপূর্বক কাজ করিয়ে প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে উস্কানিমূলক পরিবেশ তৈরি করেন। ১মে সকাল ১০টায় সুরমা পয়েন্টে জমায়েত হয়ে সমাবেশ ও পরবর্তীতে র‌্যালি করে জাতীয় ফেডারেশন বাজাফে-০৫ এর বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সিলেটের ঐতিহাসিক কোর্ট পয়েন্টের সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন। মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের ভাষ্য অনুযায়ি যে সময় হোটেল ভাংচুরের ঘটনা ঘটে তখন অর্থাৎ সকাল ১০টা হতে দুপুর ১.২০ মিনিট পর্যন্ত সমাবেশ ও পরবর্তীতে র‌্যালি আম্বরখানা গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। মিছিল পরবর্তী দুপুর ২টায় সংগঠনের কর্মসূচী সমাপ্ত হয়। কিন্তু উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আনছার আলী সহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে ও ১৫-২০ জনের নাম অজ্ঞাত রেখে জনৈক হোটেল মালিক আব্দুল মালিক মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজহারভুক্ত সকলেই কোর্ট পয়েন্টের শ্রমিক সমাবেশ উপস্থিত ছিলেন। বিভিন্ন সময় মালিকদের কাছ থেকে আইনি পাওনা ও ত্রিপক্ষিয় বৈঠকের মধ্য দিয়ে শ্রমিকদের পাওনা আদায়ে ভূমিকা রাখে সংগঠন। মালিক সমিতির সভাপতিসহ সমিতির সাথে সংশ্লিষ্ট অনেক মালিক/প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের আইনি পাওনা পরিশোধ করে। যার কারণে সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ মালিকদের রোষানলে পড়েন।

স্কপ নেতৃবৃন্দ ,অবিলম্বে সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের নামে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেফতারকৃত নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।

বিবৃতিদাতা নেতৃবৃন্দ হলেন, শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ(স্কপ) সিলেট জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক ও জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল জেলা আহ্বায়ক সুরমান আলী, সিলেট জেলা স্কপ এর যুগ্ম আহ্বায়ক ও জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের আহ্বায়ক সিকান্দার আলী, সিলেট জেলা স্কপ এর সদস্য সচিব ও সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট এর আহ্বায়ক আবু জাফর, সিলেট জেলা জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশ এর আহ্বায়ক কে,এ কিবরিয়া চৌধুরী, সিলেট ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক জোটের প্রবীর মিত্র, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সদস্য সচিব নুরুল ইসলাম, জাতীয় শ্রমিক জোটের জেলা সাধারণ সম্পাদক গিয়াস আহমদ,সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের যুগ্ম আহ্বায়ক প্রণব জ্যোতি পাল, ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ জেলা সাধারণ সম্পাদক সাদেক মিয়া,জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আলফাজ উদ্দিন প্রমূখ